সরকার চাইলে দুর্গাপূজায় হামলা হবে, না চাইলে হবে না : রানা দাশগুপ্ত

অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নে ’৭২-এর সংবিধানে ফিরে যাওয়া, সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতা অবসানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ, একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের জন্য ইশতেহারে দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি পূরণ, দুর্গাপূজায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণাসহ সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।

রোববার (১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং ঐক্য মোর্চার সমন্বায়ক এডভোকেট রানা দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ৬ অক্টোবর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে আগামী ৪ নভেম্বর শনিবার বেলা ২টায় একই স্থানে মহাসমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই বিষয়টি জানাচ্ছি। একই সাথে ঘোষণা করছি যে, আগামী ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় তা অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টা থেকে। ২৪ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় তা শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে এ কর্মসূচি একটানা ৩৪ ঘণ্টা চলার পরপরই আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনশনস্থলে এসে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করার আশ্বাস দেন।

তিনি জানান, ২০১৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আইনের কথা তিনি উল্লেখ করে জানিয়েছেন বৈষম্য বিলোপ আইন সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে আছে। দেবোত্তর সম্পত্তি আইনটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে আছে। সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের কাজটি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সে কারণেই আমরা সবার আগে কমিশন গঠনের পদক্ষেপ নিয়েছি। অক্টোবরের মধ্যেই এই কমিশন গঠন করা হবে। কবির বিন আনোয়ারের আশ্বাস এবং অনশন ভঙ্গের অনুরোধের প্রেক্ষিতে অনশনকারীরা কর্মসূচির সেই সময়ের জন্য সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ২০২১ সালে দুর্গোৎসবে হামলার পর ২০২২ সালে হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় সরকার চাইলে দুর্গাপূজায় হামলা হবে, না চাইলে হবে না এটাই বাস্তবতা। এজন্য গণতন্ত্রের স্বার্থ সকল রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

Related Posts