বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ফরিদ আহমেদ ইমন বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন। তবে তার বিরুদ্ধে দেশে একাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র অনুযায়ী, ৪ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের সমন্বয়কদের একটি মামলায় তাকে আসামি করা হয়। এখন পর্যন্ত মোট ২টি মামলায় ফারিদ আহমেদ ইমনের নাম যুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আসামি সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান এবং মুহিবুর রহমান মানিক। এই মামলা সংশ্লিষ্টতায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অসংখ্য নিরপরাধ ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। অনেকে মামলার ভয়ে আত্বগোপনে আছেন।
সম্প্রতি ২৩ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ কোর্টে তাকে আর একটি মিথ্যা মামলায় পুনরায় আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী হিসেবে ছাতক উপজেলার স্থানীয় বিএনপি নেতার নাম উঠে এসেছে।
ফরিদ আহমেদ ইমন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সৈনিক এবং ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাগুলো উদ্দেশ্যমূলক এবং হয়রানির জন্য।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিকভাবে বিপদে ফেলার জন্য একটি নির্দিষ্ট চক্র মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিচ্ছে।
ফরিদ আহমেদ ইমন আরও বলেন, “ছাত্রলীগের কর্মী থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে এসেছি এবং সবসময় দলের জন্য কাজ করে গেছি। যারা মামলা দিয়ে আমাদের দমাতে চায়, তারা কখনো সফল হবে না।”
এ ধরনের মিথ্যা মামলা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।