বিকেলে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিদেশ সফরের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকব। ইলেকশনের পরে, যদি আসতে পারি, আবার করব। তারপর দেখি কে সাহস পায় নিতে… ক্ষমতা। সব রেডি করে দিয়েছি, এখন বসে বসে বড় বড় কথা বলে। আমি বাবা-মা সব হারিয়েছি। আমার হারাবার কিছু নেই। ১৫-১৬ বছর বয়স থেকে মিছিল করি। কত বছর হয়েছে রাজনীতির? একটা স্বপ্ন ছিল- জাতির পিতার, সেটা করেছি, এখন তো কেউ না খেয়ে থাকে না।
রিজার্ভ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব আঁতেল, জ্ঞানীগুণী কথা বলেন। তারা কী জানেন, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি, তখন রিজার্ভ কত ছিল। বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছি। যতটুকু রিজার্ভ প্রয়োজন, আমাদের আছে। আমাদের ভালো থাকা জরুরি, নাকি রিজার্ভটা দরকার বেশি। যদি বলে, তাহলে রিজার্ভ আগের জায়গায় এনে দেই। বিদ্যুৎকেন্দ্র-টেন্দ্র বন্ধ করে দেই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই আমরা করেছি। আর সেই নির্বাচন হয়েছে বলেই জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছে, আর একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই, অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে ‘একটু বেশি কথা’ বলে, সে কারণে বিদেশিরাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়। দুর্ভাগ্য হলো সেটাই, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে, সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে তাদের (বিদেশিদের) উদ্বেগ দেখিনি।