এই মঙ্গলবারই দেশের গোপনীয় কূটনৈতিক তথ্য ফাস মামলায় ১০ বছরের জেল হয়েছিল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। বুধবার তোশাখানা মামলাতেও তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছরের সাজা দিল আদালত।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের এক বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, গোপন কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। গোপন কূটনৈতিক তথ্যকেই সাইফার বলা হয়। ২০২২ সালের মার্চ মাসে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছিল সাইফার। অভিযোগ, ইমরান খান সেই কূটনৈতিক তথ্য হারিয়ে ফেলেছিলেন।
সেই সাজার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার আরেক মামলায় সাজা পেলেন ইমরান খান। এদিন তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের সাজা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইমরান খান যে দামি উপহারগুলি পেয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি তা বিক্রি করে দেন। এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ। সেই মামলাতেই আজ সাজা দেওয়া হল ইমরান খানকে। আগামী সপ্তাহেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে ইমরান খানের ১৪ বছরের সাজা তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের জন্য বড় ধাক্কা।
এই রায় ঘোষণার পরই পিটিআইয়ের মুখপাত্র বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ইতিহাসে আরও একটি দুঃখজনক দিন।”
গত অগস্টেই গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর জামিনে একবার মুক্তি পেলেও আপাতত জেলেই রয়েছেন ইমরান খান। এই সাজা নতুন করে কার্যকর করা হবে নাকি বর্তমান কারাবাসের সঙ্গেই যুক্ত হবে, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইমরান খানের আইনজীবী জানিয়েছেন, বুশরা বিবিকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।
উল্যেখ্য, আগামী বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ইমরান খানই জেলে থাকায় এবারের নির্বাচন কার্যত একতরফা হবে, বিশেষ সুবিধা করতে পারবে না পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দল।