সংখ্যালঘু স্বীকৃতিতে কেন আপত্তি!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন না তখন সংখ্যালঘু ভাবনাটা মনে উদয় হয়নি। যখনই আপনারা ক্ষমতায় তখনই সংখ্যালঘু শব্দটি মনের মধ্যে উঁকি দেয়।
উঁকি দেয়ার কারণ যথেষ্ট। ২০০১ সালে নির্বাচন পুর্বাপর যখন হিন্দু নিধন চলছে আপনারাই হিন্দুদের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ শীর্ষক সেমিনার করেছেন। সংখ্যালঘু নির্যাতনের উপর স্থির ছবি নিয়ে ফটো অ্যালবাম ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে বই প্রকাশ করেছেন। সেদিন বুকে সাহস ছিলো আমরা সংখ্যালঘু নয়। কিন্তু সে ভাবনা বেশীদিন স্থায়ী হয়নি।
যখন দেখি আপনাদের ক্ষমতা থাকাবস্থায় সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আপনাদের করা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট চাপা পরে যায় আলোর মূখ দেখে না বিপরীতে আপনাদের ক্ষমতা সময়কালীন রামু নাসির নগর রূপসা, ভোলা, রংপুর ঘটনার ক্ষত শুকানোর কোন উদ্যোগ চোখে পরে না বিপরীতে কুমিল্লায় দুর্গামন্দিরে হামলার ঘটনার প্রমাণিত সত্য ইকবাল ছাড়া পায় তখন সংখ্যালঘু শব্দটি বারবার দরজায় কড়া নাড়ে।
নোয়াখালীর চৌমুহানী ও কুমিল্লায় যতন দাসের মত নিহতদের রক্তের স্রোতধারা বার বার আমাদের জানান দিচ্ছে আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু আমাদের হত্যা বিচার আজ নিরবে নিবৃতে কাঁদে। আর সে কারনে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আওয়াজ উঠছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন চাই। সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় চাই।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি যতই বলুন ‘সংখ্যালঘু বলে নিজেদের ছোট করবেন না’ এতে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মনের ক্ষত উপসম হবে না যতদিন পর্যন্ত তাদের উপর হামলা নির্যাতনের বিচার দৃশ্যমান না হবে ততদিন পর্যন্ত তারা ভালো নেই। আমি হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হিশেবে বলবো এটি এদেশের হিন্দুদের মনে কথা।
তুষার কান্তি বসাক
৮০’র দশকের একজন নগণ্য ছাত্রলীগ কর্মী।