বাংলাদেশ দল আজই দেশ ছেড়েছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় তামিম ইকবালের না থাক। এই নিয়ে নিজের ফেসবুকে ভিডিও পোস্টও করেছেন তামিম ইকবাল।
তামিমের বিশ্বকাপে না থাকার দায়টা অনেকেই দিচ্ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। গুঞ্জন ছিল সাকিবের চাওয়াতেই তামিমকে নেয়া হয়নি দলে। এত আলোচনা যখন ক্রিকেট পাড়ায় সেই সময়ই টি-স্পোর্টসকে দেয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে রীতিমত বোমা ফাটিয়েছেন সাকিব আল হাসান।
তামিমের না থাকার পিছনে সত্যিই সাকিবের ভূমিকা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে টি-স্পোর্টকে সাকিব বলেন,’ আমি অন্তত মনে করি, অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে আমি দেখে আসছি একটা প্লেয়ার যে ভালো করছে, দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করছে সেই প্লেয়ারকে বাংলাদেশ কখনো কোনদিনই বাদ দেয়নি।‘
তিনি আরো যোগ করেন,’ আমার তো দায়িত্ব না পুরো টিমটা সিলেক্ট করা। তাহলে তো এশিয়া কাপের একদিন আগে ক্যাপ্টেন অ্যানাউন্স করেই টিম দিয়ে দিতে পারতাম। এটা (কারো দলে থাকা না থাকা) অনেক প্রসেসের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক ফ্যাক্ট চিন্তা করতে হয়, এমন না শুধু মাঠের পারফর্মেন্স। মাঠ, মাঠের বাইরে, ড্রেসিংরুম, টিম মিটিং, এটমস্ফিয়ার অনেক কিছু আসলে চিন্তা করে টিমটা করতে হয়। যদিও এইসবকিছুতে আমি এখন খুবই কম ইনভলভড।‘
ওদিকে নিজের ভিডিওতে তামিম বলেছেন তাঁকে জানানো হয়েছিল বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা তাঁকে খেলাতে চায় না দল। এছাড়া কোন কোন ম্যাচে তাঁকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল। সেটা নিয়ে কতটা অবগত ছিলেন সাকিব?
প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন,’ আমার সাথে কোন আলোচনাই হয়নি। যদি এটা কেউ বলে থাকে সে নিশ্চয়ই অথরাইজড কেউ। এটা আগে থেকে আলাপ করা হচ্ছিল যেন জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভাল হয়। আর এরকম বলাতে (তামিমকে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে বলা) খারাপ কিছু আছে বলে আমি মনে করিনা।‘
তিনি আরো বলেন,’ কেউ এটা বলে থাকলে সে টিমের কথা চিন্তা করেই বলেছে। যে এই কম্বিনেশনটা আমরা দেখি। এমন অনেক কিছুই হয় একটা ম্যাচকে কেন্দ্র করে। ফলে সেটা আগে থেকে আলোচনা হওয়া ভালো। নাকি এমন প্রস্তাবই দেয়া যাবেনা? যে একজনকে (তামিমকে ইঙ্গিত করে)আমি বলবো তুমি যা ইচ্ছা করো। এখানে টিম আগে না ইনডিভিজ্যুয়াল আগে?
পুরো ক্যারিয়ারে ওপেন করা তামিম হুট করে কেন মিডল অর্ডারে খেলবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন,’ রোহিত শর্মার মত প্লেয়ার, যে দশ হাজার রান করে ফেলসে। সে যদি মাঝে মাঝে তিন-চারে খেলে কিংবা ব্যাটিংয়ে না নামে এটা কী খুব একটা সমস্যা হয়? এটা আমার কাছে মনে হয় বাচ্চা মানুষের মত, যে আমার ব্যাট আমিই খেলব। আসলে টিমের প্রয়োজনে যে কাওকে যেকোন জায়গায় খেলতে রাজি থাকা উচিৎ। টিম ফার্স্ট, এখানে আপনি কী করলেন সেটা কোন পার্থক্য গড়ে দেয় না যদি দল হারে। এই পারসোনাল এচিভমেন্ট দিয়ে আপনি কী করবেন? নিজের নাম কামাবেন? তারমানে কী আপনি নিজের কথাই শুধু চিন্তা করছেন, আপনি দলের কথা ভাবছেন না।‘
সাকিব আরো যোগ করেন,’ প্রস্তাবটা টিমের কথা চিন্তা করেই তো দেয়া হয়েছে। এভাবে হলে হয়তো টিমের জন্য ভালো হবে, সে কারণেই তো প্রস্তাবটা দেয়া। তো এটাতে খারাপ কী আছে? অবশ্যই ডিসকার করার আছে যে না আমি পারব, তুমি বলো আমাকে কী করতে হবে, আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট টু ডু ইট ফর দ্য টিম। তাহলেই তো আপনি টিম ম্যান। এভাবে চিন্তা না করলে ইয়্যু আর নট অ্যা টিম ম্যান।‘