রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যান নুর এ আলম তৈমুর। রেল পুলিশ বললো, তৈমুরের কানে হেডফোন ছিল। তারা শুনেছে প্রত্যক্ষদর্শীর কাছে।
অমনি ছড়িয়ে গেল তৈমুর মারা গেছেন কানে হেডফোন দিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে।
কিন্ত তৈমুরের স্ত্রী সেটা মানতে নারাজ। একে স্বামীর মৃত্যুর শোক, অন্যদিকে এমন অভিযোগ যেটা বিশ্বাসযোগ্য না। কেননা তিনি হেডফোনে স্বামীকে কখনো গানই শুনতে দেখেন না।
শেষে স্ত্রী মাসনুনার চেষ্টায় জানা গেল, এক নারীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন তৈমুর। ওই নারী বাঁচলেও বিপরীত দিক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আরেকটি আসা ট্রেনে ধাক্কা খেয়ে মারা যান তৈমুর।
ক্ষিলখেত রেল ক্রসিংয়ের আশেপাশের সকলেই দেখেছে এই দৃশ্য।
একজনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ দিলেন যুবক, এমন সত্য আড়াল হয়ে যাওয়া উচিত নয়।
২৮ নভেম্বর সকালে অফিসে যাবার পথে খিলক্ষেত রেল ক্রসিং-এ ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন নূর এ আলম তৈমুর। তিনি সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ-এর ‘সংযোগ’ প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন।