পার্বতীপুরের চন্ডিপুর ইউনিয়ন এলাকায় মানব কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় আনোয়ারা বেগমের নাম উল্লেখ হয়েছে। তিনি ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া মানব কঙ্কালটি এনেছেন, যা শালন্দার কাগজিয়া পাড়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর স্ত্রী। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন থেকে এই মানব কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবরে আনোয়ারা বেগম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। এরপর তার শ্বশুরবাড়ির পাশে অবস্থিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় মানব কঙ্কালটি অন্যত্র নিয়ে আসা হয়েছিল এবং তার সাথে জড়িত এক ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম নামে পরিচিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে শফিকুল ইসলাম একটি কবর খুঁড়ে গিয়ে মানব কঙ্কালটি তুলে বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে, তার স্ত্রী তার কবর থেকে কঙ্কালটি নিয়ে আসতে দেননি এবং তাকে তাগাদ দিতেন। এরপর শফিকুল ইসলাম মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে পরিচিত হয়েছে, এবং এই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেননি।
এ সময়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের অধিকারীরা এলাকায় পৌঁছানো এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর এলাকার মডেল থানার ওসি সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে কবরস্থানগুলি পরিদর্শন করে এবং তাদের প্রতি সতর্ক হয়ে থাকা হয়েছে। প্রশাসনের পরিচিতি মোতাবেক, এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে উদ্বিগ্নতা ও চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে। এ সংবাদ প্রসারের পর, এলাকার প্রশাসন এবং স্থানীয় পুলিশ তাদের সহানুভূতি ও সাহায্যের উদ্দেশ্যে সকল প্রয়াস চালাচ্ছে।
আনোয়ারা বেগমের পুত্র দুলাল হোসেন জানান, মানব কঙ্কাল উদ্ধারের পর এলাকার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মানুষ মনে করছেন যে, কবর থেকে মানব কঙ্কাল তুলেনা কেউ একজন মানুষ, বরং কোনো প্রাণী এটি করেছে। এটি ধারণা হয়েছে কারণ শফিকুল ইসলামের এই প্রযুক্তি তিনি আগেও ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি।
এই ঘটনায় আনোয়ারা বেগমের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে সত্তার আশা হয়েছে হারিয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের প্রতি তারা তাদের সতর্কতা ও সাহায্যের উদ্দেশ্যে এবং তাদের মুক্তির জন্য বিশেষ প্রযুক্তি এনেছেন। পুলিশ অধিকারীরা ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে আত্মহত্যা সংকটের প্রতি সতর্কতা ও আলোচনা করছেন এবং মানব কঙ্কাল উদ্ধার ঘটনায় মোতাবেক অবশ্য বিস্তারিত তদন্ত চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপায় নিয়েছেন।