লিবিয়ার ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী এক এলাকা থেকে ২০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ধারণা, এদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক।
শনিবার, ১লা ফেব্রুয়ারি এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র না থাকায় তাদের জাতীয়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, আজদাতিয়াতে ২০ জন ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছে। মরদেহগুলোর অবস্থা এতটাই নাজুক ছিল যে দ্রুত দাফনের প্রয়োজন পড়ে। তাদের সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না, ফলে তাদের জাতীয়তা নির্ধারণ করা যায়নি।
তবে লাশগুলোর শারীরিক গড়ন ও অন্যান্য বিবরণ অনুযায়ী তাদের বাংলাদেশি বলে মনে করছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
গত বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক পোস্টে জানানো হয়, “লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভূমধ্যসাগরের ব্রেগা উপকূল থেকে গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে দূতাবাস জানতে পেরেছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়ার পর এসব মরদেহ ব্রেগা উপকূলে ভেসে এসেছে।”
ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, “উদ্ধারকৃত মরদেহের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক থাকার আশঙ্কার কথা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে দূতাবাস।”
প্রসঙ্গত, অবৈধভাবে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ লিবিয়া। এ পথে ইউরোপগামী অভিবাসীদের ছোট ছোট নৌকায় করে পাঠানো হয়, যেখানে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। প্রতিবছর এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারান।