পরপর ছয় পরাজয়ে সবার আগে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে আসর শুরু করলেও এরপর আর জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি সাকিব আল হাসানরা।
সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে গেছে টিম টাইগার্স। আর তাই টুর্নামেন্টের বাকি দুটি ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার।
বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টগুলোয় অনেকের চোখ থাকে প্রাইজমানি বা অর্থ পুরস্কারের দিকে। কোন দল কত পাচ্ছে, সে খোঁজ নিতে শুরু করেন অনেকেই।
এবারের বিশ্বকাপে এক কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা দেয় বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
গত ৫ অক্টোবর শুরু হওয়া বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লিগের সপ্তম রাউন্ডের খেলা চলছে এখন। অর্থাৎ বিশ্বকাপ প্রায় শেষের পথে। আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে বিশ্বকাপের।
আসরের চ্যাম্পিয়ন দল প্রাইজমানি হিসেবে পাবে ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা)।
আর যারা ফাইনালে হারবে, তাদের পকেটে যাবে চ্যাম্পিয়ন দলের অর্ধেক টাকা। অর্থাৎ রানার্স-আপ দলটি পাবে ২০ লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২২ কোটি টাকা)।
এবারের বিশ্বকাপকে সবচেয়ে বাজে আখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। মেগা আসরটি থেকে কোনো দলই খালি হাতে ফিরবে না।
সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দল দুটি পাবে ৮ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা করে। প্রথম রাউন্ড থেকে বাদ পড়া দলগুলোর জন্যও থাকছে মোটা অঙ্কের প্রাইজমানি।
বাদ পড়া ছয় দলের প্রত্যেকে পাবে ১ লাখ ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ কোটি ১০ লাখ টাকা করে। এছাড়া গ্রুপপর্বে যে ৪৫টি ম্যাচ হচ্ছে, সেখানে ম্যাচজয়ী দলগুলো পাবে ৪৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা করে।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের এখনও বাকি আছে দুটি ম্যাচ। আগামী ৬ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা ও ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করবে বাংলাদেশ।
সে হিসেবে এখন পর্যন্ত হিসেবে করলে বাংলাদেশ পাচ্ছে দেড় কোটি টাকার মতো। শেষ দুই ম্যাচে জিততে পারলে টাকার অঙ্কটা বাড়বে আরও।